সিজারের পর মায়ের যত্ন
সিজারের পর মায়ের যত্ন: একজন গর্ভবতী নারীর সিজারিয়ান সেকশনের মাধ্যমে সন্তান জন্ম দেওয়ার সময় এবং তারপরেও শরিরের উপর দিয়ে অনেক ধখল যায়। এর প্রভাব মায়ের উপর শুধু শারীরিকভাবে নয়, মানসিক ভাবেও পরতে পারে। তবে এই পরিবর্তন একেক মায়ের জন্য একেক রকম হতে পারে।
চলুন যেনে নেই মায়ের যত্নে কি কি করা আবশ্যক :
নাম্বার এক: কাজ ও বিশ্রাম:যদিও বাচ্চার কারণে বিশ্রাম নেওয়াটা অনেক কঠিন হয়ে পরে। সিজারের পর অন্তত প্রথম ৬ সপ্তাহ স্বাভাবিক ভাবেই মাকে বিশ্রামে থাকতে হবে। এ সময় অন্যদের তার কাজে সাহায্য করতে হবে। অন্তত প্রথম ৬ সপ্তাহ থাকতে হবে বিশ্রামে। যদিও এটা বলার চাইতে করাটা অনেক কঠিন। বাচ্চার কারণে বিশ্রাম নেওয়াটা অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। বাচ্চার যত্নের কাজে পরিবারের অন্য সদস্যদের সাহায্য নিন। তবে শুধু শুয়ে বসে সময় কাটালি চলবে না। সিজারের সাধারণত 24 ঘণ্টার মধ্যেই মাকে বিছানা থেকে ওঠে বাথরুমে যেতে উৎসাহিত করা হয়। এতে ক্ষতস্থান তাড়াতাড়ি সেরে উঠতে সাহায্য করে।
নাম্বার দুই: প্রসবের পর মায়ের স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত ক্যালরি দরকার হয়। এই অতিরিক্ত ক্যালরি বুকের দুধ তৈরির জন্য প্রয়োজন হয়। সুষম খাবার খেতে হবে। সময় মায়ের দেহে পানির প্রয়োজনীয়তা বেড়ে যায় ও ঘন ঘন পিপাসা পায়। মাকে সব সময় পিপাসা পেরিয়ে প্রচুর পানি পান করতে হবে। নাম্বার তিন কাটা স্থানের যত্ন: সিজারের ক্ষেত্রে কাটা স্থানের যত্ন নিতে হবে। প্রতিদিন হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার কাপড় দিয়ে শুখিয়ে নিন।যদি কাঁটা স্থানটি কাপড়ের সাথে ঘষা লাগে তবে এর উপর গজ ব্যান্ডেজ লাগিয়ে নিতে পারেন। ঢোলা আরামদায়ক এবং সুচির কাপড় পড়ার চেষ্টা করুন। কাটা স্থানে ইনফেকশন হচ্ছে খেয়াল রাখুন। যদি ক্ষতস্থান লাল হয়ে যায় বা বেশি ব্যথা হয় তবে ডাক্তারকে জানান।
নাম্বারটা চার: বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানো: বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানো শুধু বাচ্চার জন্যই উপকারী না। এটা মায়ের জন্যও অনেক উপকারী। যে সকল মায়েরা বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ার অন্য মায়েদের তুলনায় অপেক্ষাকৃত দ্রুত ঝরে যায়। কারণ বুকের দুধের মাধ্যমে বাচ্চা কি পর্যাপ্ত পুষ্টি দিতে গিয়ে শরীর থেকে অনেক বেশি ক্যালোরি ক্ষয় হয়। যার ফলে ওজন ঝরে যেতে শুরু করে। এজন্য শুধু জন্মের প্রথম ছয় মাস নয় বরং এরপরও বাচ্চাকে ১ বছর প্রযন্ত নিয়মিত বুকের দুধ খাওয়ানো উচিত।
নাম্বার ৫: যেসব কাজ এড়িয়ে চলতে হবে : সিজারের পর কিছু কিছু কাজ এড়িয়ে চলা উচিত, পর ক্ষতস্থানে বার বার হাত দেয়া উচিত নয়। ইনফেকশনের সম্ভাবনা বাড়ে বাসায় ফেরার সাথে সাথে গৃহস্থালির কাজ কর্ম শুরু করার প্রয়োজন নেই। এসব কাজে পরিবারের অন্য সদস্যদের সাহায্য নিন । সিঁড়ি দিয়ে উঠানামা যতটা সম্ভব কম করা উচিত, এছাড়াও ভারী জিনিস উঠানো বা বহন করা বন্ধ রাখতে হবে। সিজারের পর কিছুদিন পর্যন্ত নিজের বাচ্চাকে কোলে নেওয়াটাও দাঁড়াতে কষ্টকর হতে পারে।সেটা খুব বেশি করার প্রয়োজন নেই, আপনি চেয়ারে বসে অন্য কারো সাহায্য নিতে পারেন। এ সময় খুব বেশি জোরে হাসা বা কাশি দেওয়া উচিত নয়। এতে ক্ষত স্থানের উপর চাপ পড়তে পারে
নাম্বার ৬ :মানসিক যত্ন: বার্তা প্রসবের পর মায়ের তার থেকে ৫ দিনের দিন ব্রেক ডাউন হয় খারাপ লাগে কান্না পায় দুর্বল লাগে এবং ঠিকমতো চিন্তা করার ক্ষমতা থাকে না অনেক মা নরমাল ডেলিভারি হয়নি বলে অনেক মন খারাপ করে থাকে অযোগ্য বলে ভাবতে থাকেন। এসব অনুভূতি নিয়ন্ত্রণ করা অনেক সময় মায়েদের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। আপনি যদি সিজারিয়ান মা হয়ে থাকেন অবশ্যই কমেন্ট করবেন
আল্লাহ হাফেজ
https://www.livewell99.com/2024/04/blog-post_28.html.html